স্বদেশ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাসসিরে কোরআন আল্লামা লুৎফুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন। আজ রোববার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল পৌনে ১০টায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নিজবাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মাওলানা লুৎফুর রহমান। সাথে সাথে বাড়ির লোকজন তাকে লক্ষ্মীপুর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয় তাকে।
আল্লামা লুৎফুর রহমান ১৯৪০ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের জন্মগ্রহন করেন। কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
মাওলানা লুৎফর রহমান ব্যক্তিজীবনে পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলের জনক।
জানাজা
মাওলানা লুৎফর রহমানের নামাজে জানাজা আজ রোববার রাত ৮টায় জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে এশার জামাতের পর অনুষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের শোক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরেন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা লুৎফুর রহমানের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান শোকবাণীতে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরেন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা লুৎফুর রহমান গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি আজ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। আমি তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, আল্লামা লুৎফর রহমান ছিলেন একজন খ্যাতিমান ইসলামী পণ্ডিত ও দা’য়ী ইলাল্লাহ। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন রুকন হিসেবে দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে নিরলস ও সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ইত্তেহাদুল উম্মাহসহ তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বহু দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার আধ্যাত্মিক রাহবার। তিনি শিরক, বেদআত ও ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। ইলমে দ্বীনের খেদমতের জন্য যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তার ইন্তেকালে জাতি একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীনকে হারাল। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।
তাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে উঁচু মাকাম দান করুন। আমি তার শোকাহত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।